আমাদের বিজয় যেমনি আনন্দের তেমনি বেদনার
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা কাদেরই বা না জানা! আমাদের সবারই জানা থাকার কথা। কেউ প্রত্যক্ষদর্শী, দেউ পরোক্ষদর্শী, কেউবা আবার ইতিহাসদর্শী। আমরা যারা তরুণ আছি তারা বিভিন্ন বইয়ের পাতায় পড়ে জেনেছি। সেই সময়কার সংগ্রামী যোদ্ধাদের নিকট হতেও জেনেছি। আমরা আমাদের গৌরবময় ইতিহাস মোটামুটি হলেও জানার চেষ্টা করেছি।
আমরা আজ স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলছি, কারো কোনো বাধা নেই। কিন্তু আজ থেকে ছয় দশক আগে ১৯৫২ সালে আমাদের পূর্বসূরীদের কাছ থেকে এ ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের (যা বর্তমানে পাকিস্তান) ঘাতক গোষ্ঠী।
৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের সৈন্যরা আক্রমণ করে গণহত্যা চালিয়েছে আমাদের নিরস্ত্র, নিপীড়িত জনগণের উপর। আমাদের বাংলামায়ের দামাল ছেলেরা মেনে নিতে পারেনি তাদের এই অত্যাচার। তারাও পাকিস্তানী ঘাতক বাহিনীদের রুখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশকে স্বাধীন করার জন্য এদেশের ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করেছে।
প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষ তাদের রক্ত সিঞ্চন করে, নিজেদের প্রাণকে বিসর্জন দিয়ে, দুই লক্ষ মা-বোনেরা নির্যাতিত হয়ে, দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের কাছে হার মেনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বিকাল ৪:১৫ মিনিটে (বর্তমানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানী সৈন্য প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে তাদের সকলের পক্ষে আত্মসমর্পণ পত্রে সই করেন। এতে তারা পরাজয় বরণ করে, আমরা বিজয়ী হই। সেই সময় যারা যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা গেছেন তাদেরকে আমরা শহীদ বলে থাকি, তাদেরকে আমরা আজও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকি।
যেসকল গাজীরা সেইদিন (১৬ই ডিসেম্বর) এদেশে আকাশে লাল সবুজের বিজয় নিশান উড্ডীন করেছিলেন তাদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।
১৬ই ডিসেম্বর এইদিন আমরা বিজয় দিবস পালন করে থাকি।
তাই আসুন!
আমরা এবারের বিজয় দিবসে আমরা গান, নৃত্য , বিভিন্ন রকম অপসংস্কৃতির অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে , আলোচনা সভা করি, নতুন প্রজন্মের নিকট আমাদের ইতিহাসের কথা তুলে ধরি। দেশের সেই ক্রান্তিলগ্নে যারা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন তাদের স্মরণে প্রতি শিক্ষাঙ্গনে অফিসে আদালতে, পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করি। এতে শহীদ ভাই বোনদের আত্না শান্তি পাবে।
লেখক-
শিক্ষার্থী: জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী কারিগরি কলেজ।
সদস্য: বাতায়ন।
সদস্য: সারী সোসাইটি।
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি : ইত্তেহাদ টামইস