খেজুর সারা বছর পাওয়া গেলেও মূলতঃ বাংলাদেশের মুসলমানেরা রমজান মাস ছাড়া ফলটি খুব একটা খায় না। সারা বছর কম খাওয়ার ফলে রমজান মাসে ফলটির চাহিদা বেড়ে যায়।
কিন্তু আপনি কি জানেন এই ফলটির মধ্যে লুকিয়ে আছে সাতটি রোগের মহৌষুধ? যা বছরের সব সময় আপনি খেতে পারেন।
১। দ্রুত শক্তি প্রদানকারী
খেজুরে আছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ যা আপনাকে শক্তি দিয়ে থাকে। এটি আপনার শরীরে খুব দ্রুত শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। আপনি যখন খুব ক্লান্ত থাকেন তখন কিছু খেজুর খেয়ে নিন। দেখবেন, শরীরের ক্লান্তি এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।
২। রক্ত স্বল্পতা দূর করে
যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। খেজুর রক্ত উৎপাদন করে আপনার দেহে রক্তের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
৩। কোলেষ্টরল কমায়
খেজুরে কোনো কোলেষ্টরল এবং বাড়তি চর্বি থাকে না। ফলে আপনি সহজেই খেজুর খেয়ে অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারেন।
৪। ওজন কমিয়ে থাকে
মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা এবং তা পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। আর এই কয়েকটি খেজুর শরীরের শর্করার চাহিদাও পূরণ করে থাকে। ফলে আপনি শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ না করলেও শরীরে শর্করার অভাব হবে না।
৫। হজমে সাহায্য করে
কখনো বেহিসেবী খাওয়া দাওয়া করে ফেললে, অনেক সময় বদহজম হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি দেবে কয়েকটি খেজুর।
৬। কোষ্ঠ কাঠিন্য ও ডায়রিয়া সারায়
খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাক হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য রোধ করে। ডায়রিয়া হলে কয়েকটি খেজুর খান। এটি ডায়রিয়া রোধ করতে সাহায্য করবে।
৭। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
অবাক হলেও সত্য যে, খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গবেষনায় দেখা গেছে যে, খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে যায় অনেকখানি।