দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র মাত্রই প্লেটোর রাষ্ট্রদর্শন জানে। বিজ্ঞানী প্লেটো তার (Utopia) ইউটোপিয়া রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আদর্শ রাষ্ট্রকাঠামো হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কথা এটা না। প্লেটো নয় শুধু আপনিও আপনার মনের মতো একটা State Structure দাঁড় করান। নো প্রবলেম। কিন্তু মানুষ যদি আপনার এই সিস্টেমকে মেনে নেয়, তবেই কথা। কিন্তু আজকের আলোচনা এই জায়গায়ও নয়। মানুষ তা মানলেই কী আর না মানলেই কী! বাস্তবায়ন না হলে কোনো যায়-আসে-না।
তো কথাটা কী আসলে? কথা হলো, এসব কাল্পনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে যারা আদর্শ রাষ্ট্রকাঠামো হিসেবে গ্রহণ করে, মেনে নেয়, পক্ষে যুক্তি দেয়, ঐ তারাই ইসলামি রাষ্ট্রদর্শনকে মানে না। উল্টো যুক্তি উত্তাপন করে বলে “এর বাস্তবতা পৃথিবীতে আছে?”
তখন জিজ্ঞেস করতে মন চায়- “ভাই, তাহলে প্লেটোর ইউটোপিয়ার বাস্তবতা পৃথিবীর কোথাও আছে?”
আসলে প্লেটো তার বিখ্যাত “দি রিপাবলিক” গ্রন্থে এই ধারনাকে ব্যক্ত করেছেন। তার প্রস্তাবিত এই আদর্শ রাষ্ট্র ছিল সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসুত। যার বাস্তবতা পৃথিবীতে ছিল না এবং হবেও না। তবে প্লেটোর রাষ্ট্রদর্শনের যে কল্যাণকর দিক আছে তা কেবল ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সম্ভব। প্লেটো চেয়েছেন, ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র। যেখানে শান্তি আর শান্তি থাকবে। এটা সম্ভব তখনই যখন পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবে খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ। “বাস্তবের সাথে সঙ্গতিহীন”, “যুক্তি-সাহস-কামনা তথা শ্রেণিভিত্তিক শাসনব্যবস্থা” ও “আইনের প্রতি অবজ্ঞা”— এসব কারণে প্লেটোর ইউটোপিয়াকে স্বয়ং দার্শনিকরাই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তাই আসুন! অবাস্তব মরিচিকার পেছনে না দৌড়িয়ে ইমারতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করি। অ|ফগ|ন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দুআ করি, যেনো তারা অচিরেই পৃথিবীকে একটি মডেল রাষ্ট্র উপহার দিতে পারে।
রাসেল মাহফুজ
লেখক, সম্পাদক ও পরিচালক: বাতায়ন