মর্যাদা প্রাপ্তি লেখকের অধিকার
আমি আগেও কয়েকটি বইয়ের অনুভূতি লিখেছি, কিন্তু কখনো আদবের কথা চিন্তায় আসে নি। আমি জানি না, অন্যান্য অনুভূতি প্রকাশে লেখকদের সম্মান রক্ষা করতে পেরেছি কি না! তাঁদের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা লেখায় ফুটে ওঠেছে কি না! একটি বইয়ের পেছনে তাঁদের কত শ্রম, কত চিন্তা, কত শত রাত জাগা আরো কত কি! এগুলোর মূল্য কি আমরা মানে পাঠকেরা আদায় করতে পেরেছি? হয় তো উত্তর আসবে, না! কারণ আমরা নিতে জানি, কৃতজ্ঞতাটুকুও প্রকাশ করতে জানি না! আমরা বড়ই অভাগা জাতি!
সত্যিকার লেখকদের লেখার পেছনে বড় অবদান থাকে আল্লাহর রহমত, পাঠকের ভালোবাসা, আর এদিক-সেদিক, সবদিক থেকে পাওয়া কিছু উৎসাহ-উদ্দীপনা! আমরা একটি বই পড়ি, আর ভুলে যাই! না ভাবি লেখকের কথা, না পাই কিছু শিক্ষা! অথচ প্রতিটি ভালো বইয়ে থাকে শিক্ষার উপকরণ। সভ্যতার বিচরণ। ভালো আচার-আচরণ। পড়া শেষে তনুমনে খেলে যায় একটি স্নিগ্ধ শিহরণ। অথচ আমরা এর প্রতি লক্ষই করি না! আমরা শুধু একের পর এক বই সাবাড় করি, কিন্তু কোন শিক্ষা নিই না! লেখকের প্রতি তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিই না, উল্টো সমালোচনা করি ইচ্ছে মতো। এরকম হতে থাকলে একসময় এই বাংলায় কোন ভালো লেখকের জন্মই হবে না। সবাই হারিয়ে যাবে কালের অথৈ গর্ভে।