রামাযান মাস একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এ মাসে শুধু আল্লাহর ভয়ে বান্দা পানাহার থেকে বিরত থাকে। সর্ব প্রকার ইবাদতের মধ্যে লৌকিকতার অবকাশ থাকলেও একটি ইবাদতের মধ্যে লৌকিকতার লেশমাত্র নেই। তা হলো রামাযান মাসের ফরজ রোজা আর এর প্রতিদান আল্লাহ রোজাদারকে নিজ হাতে দিবেন। কেননা রামাযানের যতসামান্য দিনগুলো প্রভুর কাছে অনেক প্রিয়। তাই তো স্বীয় পছন্দের মাসকে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন তিনি। বান্দাদের দিয়েছেন সিয়াম কিয়ামের মতো পুণ্যের মহান উপহার। এ মাসে লুকিয়ে রেখেছেন, শবে কদরের মহিমান্বিত রাত। তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্ধারণ করেছেন শেষ দশকের ইতেকাফ। নফল ইবাদককে দিয়েছেন সমমর্যাদা। আর দিয়েছেন এক আমলে সত্তর গুণ বৃদ্ধির অঙ্গীকার। কত মহিমান্বিত মাস! পুণ্য হাসিলের মাস! এ জন্যই এ মাসে দান সাদকা করা, আশেপাশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হক আদায় করা আমাদের জন্য বাঞ্ছনীয়। অশ্লীলতা, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, অন্যের হক খাওয়া, সুদ ও জুয়াসহ সকল প্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকা ফরজ। কেননা এটি মহা সম্মানিত মাস।শুধু কি তাই— শ্রাবণের জলধারার ন্যায় অফুরন্ত নেয়ামত ঢেলে দিয়েছেন এ মাসেই। নাযিল করেছেন হেদায়েতের আলোকবার্তা মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। এ সম্পর্কে আল কোরআনুল করীমে ইরশাদ হয়েছে, ‘রামাযান মাস, যে মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সুপথ প্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)