বিশিষ্ট আলেমে-দ্বীন মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান ছিলেন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের পথে নিবেদিতপ্রাণ এক কর্মী এবং উঁচুমাপের মুহাদ্দিস ও আলেমে-দ্বীন। তিনি দারুল উলূম হাটহাজারীর কৃতিসন্তান ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের বছর তিনি দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আল্লামা ইয়াহইয়া শোকাতুর হয়ে বলেন, মরহুম মাওলানা জাফরুল্লাহ খান ইন্তেকালের মাত্র ১২ ঘন্টা আগে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা সফর করে গেছেন। প্রথমে তিনি মাকবারায়ে দারুল উলূম হাটহাজারীতে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা আব্দুচ্ছালাম চাটগামী, আল্লামা নূরুল ইসলাম জেহাদীসহ আকাবিরদের কবর যিয়ারত করেন। যিয়ারত শেষে আমার সাথে প্রায় ঘন্টাব্যাপী কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ও দ্বীনি বিষয়ে বৈঠক করেন। কওমি মাদ্রাসা ও উলামায়ে কেরামের প্রতি তাঁর গভীর ভালবাসা অনুভব করেছি। এ সময় তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘আমি আর আসতে পারি কিনা জানি না। আপনি উম্মুল মাদারিসের মুহতামিম। তার মানে বাংলাদেশের মাদরাসাসমূহের মুরুব্বী। মাদ্রাসাগুলোকে নেগরানি করবেন। বাংলাদেশে ইসলাম টিকিয়ে রাখতে হলে কওমি মাদ্রাসাসমূহকে হেফাজত করতে হবে। যেকোনভাবে উলামায়ে কেরামের ঐক্য ধরে রাখতে হবে’।
শোকবার্তায় এ পর্যায়ে আল্লামা ইয়াহইয়া লিখেন, জীবনের শেষ কয়েক ঘন্টা আগে দ্বীনের প্রতি মরহুমের অন্তরের যে গভীর ভালবাসা আমি কাছে থেকে দেখেছি, তাতেই তিনি যে আল্লাহর মাহবূব বান্দা ছিলেন কোন সন্দেহ নেই। কার হায়াত কখন শেষ হবে, এক সেকেণ্ড আগেও অনুমান করার উপায় নেই। গতকাল রাতে কত আন্তরিকতার সাথে তার সাথে কথা বললাম, আজ দুপুরেই তিনি কবরের বাসিন্দা হয়ে গেলেন। মেহেরবান আল্লাহ মরহুমকে মাগফিরাত ও জান্নাতের উঁচু মাকাম এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদেরকে সবরে জামিল দান করুন।