ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩১ জানুয়ারি দেশজুড়ে ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।ভোট পেতে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে মাঠে অতীত দিনের স্মৃতি আওড়াচ্ছেন তারা।সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানগণ নতুন প্রত্যয়ে কথা বলছেন।আর নবীনরা দেখাচ্ছেন ভিন্নস্বপ্ন।এদিকে দিন যত ঘনিয়ে আসছে,ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোটের ময়দান।কে হচ্ছেন ‘আগামী ৫ বছরের অভিভাবক?’ এ প্রশ্ন সবার মনে।সারাদেশের ন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নবগঠিত ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউপিতেও এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।ইউনিয়নটিতে এপর্যন্ত ভোটযুদ্ধে অন্যান্যদের সঙ্গে সমানতালে লড়ে চলছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র আলেম চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা ইজ্জত উল্লাহ।নতুন নেতৃত্বের স্বপ্নদ্রষ্টা এ আলেম প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন সাংবাদিক আবু তালহা রায়হান—
সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে দীর্ঘদিন থেকে মাঠ চষে বেড়ানো মাওলানা ইজ্জত উল্লাহ বলেন,মানুষের ভালবাসা আর মর্মস্পর্শী আবেদন আমাকে চরমভাবে তাড়িত করে।এ জনপদেই আমার ছেলেবেলা, মা-মাটি ও মানুষের সাথে বেড়ে ওঠা।তাই সমাজের সুখ, শান্তি ও সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।ইন শা আল্লাহ, নির্বাচিত হয়ে শাসক নয়,ইউনিয়নবাসীর সেবক হয়ে থাকতে চাই আমরণ। এ মানসেই আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।
ইজ্জত উল্লাহ বলেন, আমার চিন্তা-চেতনা সমাজের সকল মানুষকে নিয়ে।আমি স্বপ্ন দেখি, অবিচার আর নিপীড়নের উত্তাপে দম বন্ধ করা সেই মানুষগুলোকে নিয়ে যারা একদিন পরিণত হবে স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের আশ্রয়স্থলে।তিনি আরও বলেন,
আমার স্বপ্ন সাম্যের। শোষণমুক্ত এক সমাজের।পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের যেকোন পরিবারের সচেতন সন্তান চেয়ারম্যান হয়ে মানুষের সেবা করবে হয়তো।তবে আমি এর উদাহরণ তৈরি করতে চাই। আপনাদের সমর্থনে এই শুরু হয়ত আমাকে দিয়ে হবে, কিন্তু আমিই শেষ নই।
উল্লেখ্য,মাওলানা ইজ্জত উল্লাহ সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। আর এইসব কর্মগুণে এলাকায় খুব অল্পসময়ে সবার প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন পাঁচাপাড়ার তুড়গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এ আলেম প্রার্থী।বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়েছেন তিনি। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে করোনাকালীন সহযোগিতার হাতও প্রসারিত করেছেন।