ক’দিন ধরে যেভাবে একজন মানুষের অন্ধকার জগতের খবর তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে আর কিছু বাদ রাখা হচ্ছে না। ফেসবুক খুললেই শুধু ওই খবর। আবার যত অশ্লীল ছবি,ভিডিও আছে, সেগুলো আপলোড দেওয়া হচ্ছে। দেখতে মন না চাইলেও চোখ পড়ে যাচ্ছে সবার। আমাদের মিডিয়াগুলো একটা মুখরোচক সংবাদ পেয়েগেছে। ওরা বেসামাল হয়ে প্রচার করছে সেগুলো। মিডিয়াতো সব পারে।ওরা খুব দ্রুত একজনকে উঠায়। আবার বেকায়দায় পড়লে তাকে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে। কিন্তু যখন তাকে উঠায় তখন কিন্তু চিন্তা করে না। তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে না। তার গতিবিধি লক্ষ্য করে না। তার চরিত্র সম্পর্কে খোঁজ নেয় না। নিজের প্রচার মাধ্যমকে ভাইরাল করার ধান্ধায় চোখ বোজে লেগে যায়।
আচ্ছা, ওকে এত হাইলাইট কারা করেছিল? সবাই বলবে ,মিডিয়া। আবার টেনে নামাচ্ছে কারা? সেটাও বলবে মিডিয়া। মানে মিডিয়াগুলো শখের করাত। যেতেও কাটে আবার আসতেও কাটে।
এর আগে একজন আলেমের বিরুদ্ধে লেগেছিল। ওরা পর্দার অভ্যন্তরের সব খবর প্রকাশ করে দিল। কিছুই আর বাদ রাখেনি। সেই সাথে আমাদের কিছু লোকও তালে তালে নেচে উঠল। একজন মানুষের যা কিছু ছিল সব কিছু বের করে দিল।
আমি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে যাচ্ছি না। সাধারণ কথাটা বলতে চাই। মানুষ যেই হোক, সে বিপদে পড়লে আর সেখানে আগুনে ঘি ঢালা ঠিক নয়। বরং চুপ থাকাটাই শ্রেয়। এবং ওই সমস্ত ঘটনাবলী দ্বারা শিক্ষা নেওয়া চাই। একজন মানুষ কী কারণে বিপদগ্রস্থ,কোন অপরাধে সে আটকে গেল, ওই সব বিষয় থেকে নিজেকে পরহেজ রাখা। নিজেও যেন ওই ধরনের কোন বিপদে না পড়ি, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরী।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, “ ফা’তাবিরু ইয়া উলিল আবসার”। হে চক্ষুষ্মান! তোমরা শিক্ষা নেও। যে কোন ঘটনার মধ্যে আমার শিক্ষা রয়েছে। সেগুলো দেখে নিজেকে সতর্ক করতে হবে।
একজন মানুষ কী কারণে সবার কাছে পচে যাচ্ছে, কী কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে,সেগুলো চিন্তা করা দরকার। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ এমন কাজে না জড়ায়, এমন গর্হিত কাজ না করে, সেটার ফিকির রাখতে হবে।
একজন বিপদে পড়লে আমরা হাসাহাসি করি!সে যেই হোক, আমরা হাসব কেন? এই হাসাহাসি করাটা কাম্য নয়। বরং চুপ থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখবেন, আজ একজনের বিপদে আপনি হাসছেন, এমন হতে পারে, আপনার বিপদে মানুষ হাসবে( আল্লাহ না করুন)। বহু মানুষকে দেখি, কেউ বিপদে পড়লে খুশিতে বোগল দাবায়। কিন্তু এটা কি ঠিক? একজনের বিপদে আপনি খুব খুশি!
যাইহোক, আজকের উনি বলে কথা নয়। যে কোন মানুষের বিপদে হাসাহাসি না করে তার থেকে শিক্ষা নেওয়া চাই। আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করার কারণে আজ কতবড় বিপদগ্রস্থ,আল্লাহর হুকুমের বিরোধীতা করে অন্যায় অবৈধ রাস্তা বেছে নিলে তার কী পরিণতি, সেগুলো এসব ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এবং সতর্ক হতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহী বুঝ দান করুন ।আমিন।